রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

একুশে ফেব্রুয়ারির গানটি লেখার কৃতিত্ব আমার না: আব্দুল গাফফার চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪২৪ সময় দর্শন

একুশের গান, প্রভাত ফেরীর গান। আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। গানটির স্রষ্টা আব্দুল গাফফার চৌধুরী বিনয়মিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, গানটি লেখার পেছনে তার নিজের কোন কৃতিত্ব নেই। তখনকার সময়, বাঙালীর আবেগ, অনুভূতিই তাকে গানটি লিখেয়েছে। কালজয়ী করেছে।

গানটি লেখার অপরাধে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। প্রভাত ফেরীর এ গানকে ঘিরে আব্দুল গাফফার চৌধুরী তার স্মৃতিকথা জানান নিউজ টোয়েন্টিফোরকে।

ফাগুনের এই দিনে রক্তাক্ত হয়েছিল রাজপথ। ভাষাসৈনিক রফিকের নিথর দেহ দেখে কবিতার লাইন লিখেছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

তিনি বলেন, রফিকের নিথর দেহ পড়ে আছে। মাথার খুলি নেই। মনে হচ্ছে যেন আমার ভাই পড়ে আছে। তখন হঠাৎ করেই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এই লাইন মুখে চলে আসে। গানটি লিখতে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। গানটা এমন সময় লিখেছিলাম নিজের অজান্তেই।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম প্রকাশিত লিফলেটে এটি ’একুশের গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। আব্দুল গাফফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র। গানটি লেখার অপরাধে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ওই সময় গানিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর হাসান হাফিজুর রহমানের একটি সংকলনে এই কবিতাটি ছিল। ওই সংকলনটিও নুরুল আমীন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

গানটিতে প্রথমে আব্দুল লতিফ সুর করেন। পরে তার অনুমতি নিয়ে আলতাফ মাহমুদ সুর দেন। ১৯৫৪ সালে প্রভাত ফেরিতে প্রথম আলতাফ মাহমুদের সুরে গানটি গাওয়া হয়। সেই সুরই এখন গানটির প্রতিষ্ঠিত সুর।

১৯৬৯ সালে জহির রায়গান তাঁর জীবন থেকে নেওয়া চলচ্চিত্রে এই গান ব্যবহার করেন। ২০১৬ সালে গানটি হিন্দি, মালয়, আরবি, ফরাসি, স্পেনীয়, সুইডিশ, রুশ, জাপানিজ, চীনা, ইতালীয়, বাংলা ও ইংরেজী মোট ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়। সিয়েরা লিয়নের ক্রিয় ভাষায়ও গানটি গাওয়া হয়।

বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71